মোঃ হেমায়েত হোসেন খান মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ সাঁড়া দেশের ন্যায় পবিত্র ঈদুল আজাহাকে সামনে রেখে মাদারীপুরের ডাসারে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট, বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সকাল থেকেই ফজলগঞ্জ চৌরাস্তা,পাথুরিয়ারপার বালূর মাঠে ও ঐতিহ্যবাহী গোপালপুর হাটে গরু ছাগলের ব্যাপক আমদানি দেখা গেছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই হাটগুলোতে মানুষের উপচে পড়া ভিড়ে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে পশুর হাট। দেশি গরুর চাহিদা ছিল তুঙ্গে। হাটে ছোট, মাঝারি ও বড় সাইজের প্রচুর গরু উঠলেও দাম ছিল কিছুটা চড়া। বিশেষ করে দেশি মাঝারি গরুর দামের চেয়ে অন্যান্য বছরের তুলনায় তুলনামূলক কম দামে বিক্রি হচ্ছে পশু, এতে ক্রেতারা খুশি হলেও, বিক্রেতাদের লোকসান হচ্ছে বলে জানান তারা। জানা গেছে, ডাসার উপজেলার কাজিবাকাই এলাকার ফজলগঞ্জ বাশতলা ও পাথুরিয়ারপার বালুর মাঠ নতুন করে বসেছে পশুর হাট এছাড়া ঐতিহ্যবাহী গোপালপুর হাট সপ্তাহে দুইদিন বসলেও বর্তমানে প্রতিদিন চলছে পশুর বেচাকেনা। গোপালপুর হাটে সবচেয়ে বড় গরুটির দাম হাঁকা হয়েছে ১০ লাখ টাকা। পশুর হাট পরিচালনার দায়িত্বে থাকা মুবিন তালুকদার জানান হাটে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। বিভিন্ন জেলা থেকে ব্যবসায়ীরা পশু নিয়ে এসে রাতেও বেচাকেনা চালিয়ে যাচ্ছেন। ব্যবসায়ীদের থাকা, খাওয়ার ব্যবস্থাও রয়েছে। ক্রেতা আঃ আজিজ ও বাদশা মিয়া জানান, তাঁরা দেশি মাঝারি সাইজের গরু কিনতে এসেছেন। তবে বড় গরুর তুলনায় ছোট গরুর দাম বেশি হওয়ায় অনেকেই কেনাকাটা না করেই ফিরে যাচ্ছেন। আবার কেউ কেউ তাদের সাধ্যের মধ্যে পশু ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছেন। এসময় অধিকাংশ ক্রেতারা বলেন, গোপালপুর পশুর হাটে ১ লক্ষ্য থেকে দুই লক্ষ টাকার মধ্যে পশু কিনলে হাট মালিকদের হাচিলের জন্য দিতে হয় ২ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা। এতে অসন্তুষ্টি জানিয়েছে ক্রেতারা। এ বিষয়ে ডাসার উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফ-উল আরেফীন বলেন, উপজেলার হাটগুলোতে নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতারণা রোধে হাট কর্তৃপক্ষকে মাইকিংয়ের মাধ্যমে সচেতনতা প্রচারের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।