এম সাজেদুল ইসলাম সাগর , নবাবগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:- ৫ আগস্ট ঐতিহাসিক জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে বিজয় মিছিল ও আলোচনা সভার আয়োজন করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নবাবগঞ্জ উপজেলা শাখা। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট, ইতিহাসে দিনটি ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি পেল। দীর্ঘ একমাসের রক্তাক্ত ছাত্র আন্দোলনের পর এদিনে দেশজুড়ে অভ্যুত্থান ঘটে, পতন ঘটে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সাড়ে ১৫ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসনের। জনগণের ঐক্য, আত্মত্যাগ ও ছাত্রদের দৃঢ় মনোভাবের কাছে মাথানত করে শেখ হাসিনা দেশত্যাগে বাধ্য হন এবং ভারতে পালিয়ে যান। বিকেল ৫ টায় উপজেলা জামায়াত ইসলামীর কার্যালয় থেকে একটি বিজয় মিছিল বের হয়। মিছিলটি উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে । বিজয় মিছিলে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কমিটির সূরা সদস্য ও দিনাজপুর ৬ আসনের মনোনীত এম,পি প্রার্থী আনারুল ইসলাম , উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর নজরুল ইসলাম, সেক্রেটারি রেজাউল ইসলাম সহ দলের ৯টি ইউনিয়নের প্রায় ২৫শত নেতাকর্মীরা অংশ নেন। বিজয় মিছিল শেষে ডাকবাংলা মোড় ৭১ মঞ্চে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তারা বলেন,ছাত্র-জনতার প্রতিরোধের শুরু হয়েছিল কোটা সংস্কারের দাবিতে। জুলাই মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু হওয়া এ আন্দোলন অল্পদিনেই ছড়িয়ে পড়ে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে। সরকারের একগুঁয়েমি ও বলপ্রয়োগ আন্দোলন দমাতে ব্যর্থ হয়ে আরও ক্ষুব্ধ করে ছাত্রসমাজকে। ১৬ জুলাই রংপুরে আবু সাঈদসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী নিহত হলে আন্দোলনে রক্তের ধারা নামে। এরপর থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আওয়ামী লীগ সমর্থকদের হামলায় প্রাণ হারান শতাধিক সাধারণ নাগরিক। শিশু, নারী, বৃদ্ধ কেউই রেহাই পাননি। আন্দোলন আর কোটা সংস্কারের দাবি ছাড়িয়ে পরিণত হয় সরকার পতনের ডাক হিসেবে। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের প্রতিবেদন অনুসারে, জুলাই-আগস্টের সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১,৪০০ জন, যাদের মধ্যে ১১৮ জন শিশু। আহত প্রায় ১২ হাজার। বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের শাসনব্যবস্থার নির্মম চেহারা স্পষ্ট হয় এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে। জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ও তাৎপর্য তুলে ধরেন। একই সাথে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও জনগণের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।