বরগুনা প্রতিনিধি: বরগুনায় পল্লী বিদ্যুৎ নিয়ে চলছে এক প্রকারের "তামাশা"। গ্রাহকরা বলছেন, বিদ্যুৎ অফিসের মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা এলাকায় উপস্থিত না হয়েই মনগড়া ইউনিট লিখে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এদিকে অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা অভিযোগ শোনার পরিবর্তে গ্রাহকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছেন।অভিযোগ কেন্দ্রে ফোনেও মেলে না সেবা বিদ্যুৎ অফিসের অভিযোগ কেন্দ্রে একাধিকবার ফোন দিলে সেটি ইচ্ছাকৃতভাবে বিজি করে রাখা হয়। পরে অনেক কষ্টে সংযোগ পেলে দায়িত্বপ্রাপ্তরা বলেন, দেশের পরিস্থিতি যেমন চলছে, বিদ্যুৎও সেভাবেই চলবে। বেশি ফোন দিলে বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ করে দেওয়া হবে" এমন হুমকির অভিযোগও করেছেন গ্রাহকরা।অঘোষিত লোডশেডিং ও রাতভর ভোগান্তি গ্রাহকরা জানিয়েছেন, প্রতিদিন ১০-১৫ বার বিদ্যুৎ আসে আর যায়, বিশেষ করে রাতের বেলায় বিদ্যুৎ বন্ধ রাখা হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। এতে করে শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, রোগীসহ সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। গ্রাহকদের দাবি, বিদ্যুৎ বিল সংগ্রহে অনিয়ম, ভুয়া মিটার রিডিং, অতিরিক্ত বিল আদায় এবং হঠাৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার প্রবণতা এখন নিত্যদিনের চিত্র। এ জন্য তারা সরাসরি বরগুনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএমকে দায়ী করছেন। অসহায় সাধারণ মানুষের অভিযোগ—তাদের কষ্টার্জিত অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ, অথচ ন্যূনতম সেবাটুকুও পাচ্ছেন না। তারা দ্রুত এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট উচ্চপদস্থ কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।